অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা শহরের হকপাড়ার সেলিনা ও দৌলতদিয়ার বঙ্গজপাড়ার রাশীর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় ৬ নারী ও ৫ পুরুষকে আটক করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের প্রত্যেককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সেলিনা ও রাশিদা ওরফে রাশী বিভিন্ন বয়সের মেয়েদের নিয়ে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। মাঝে মধ্যে প্রশাসনের হাতে ধরা পড়লেও কদিন পর জামিনে বের হয়ে আবারও এই পেশায় ফিরে আসে। মঙ্গলবার বিকেলে শহরের হকপাড়ার সেলিনার বাড়িতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় চারজনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক চার জনকেই তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
অপরদিকে সন্ধ্যার পর শহরতলীর দৌলতদিয়াড় বঙ্গজপাড়ার রাশিদা খাতুনের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় রাশিদাসহ সাতজনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক প্রত্যেককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহব্বুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন যাবত তারা নিজের বাড়িতে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। দুই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুই মূলহোতাসহ ১১ জনকে আটক করা হয়। এর আগেও সেলিনাকে একাধিকবার আটক করা হয়েছিল।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীম ভূইয়া বলেন, দুটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নারীসহ ১১ জনকে আটক করে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রত্যেককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।