প্রতি বছর ঈদযাত্রায় রাজধানীর সিংহভাগ মানুষের মূল বাহন হয় ট্রেন। কিন্তু ট্রেনের টিকিট কিনতে কমলাপুর-বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন রেলস্টেশনে সৃষ্টি হয় প্রচণ্ড ভিড়। এই সময়ে একটি টিকিট পাওয়া যেন যুদ্ধ জয়ের সমান। অনেকেই ট্রেনের টিকিট না পেয়ে ফেরেন হতাশা নিয়ে।
ট্রেনযাত্রীদের চিরচেনা সেই ভোগান্তি দূর করতে গত ঈদুল ফিতর থেকে অনলাইনে শতভাগ টিকিট বিক্রি শুরু করে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল-আজহাতেও শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এদিন পাওয়া যাচ্ছে আগামী ২৪ জুনের টিকিট। একইভাবে ১৫ জুন দেওয়া হবে ২৫ জুনের; ১৬ জুন দেওয়া হবে ২৬ জুনের; ১৭ জুন দেওয়া হবে ২৭ জুনের এবং ১৮ জুন দেওয়া হবে ২৮ জুনের টিকিট।
ঈদযাত্রায় ট্রেনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হবে ২২ জুন। সেদিন দেওয়া হতে পারে ২ জুলাইয়ের টিকিট। যথাক্রমে ২৩ জুন ৩ জুলাইয়ের, ২৪ জুন ৪ জুলাইয়ের, ২৫ জুন ৫ জুলাইয়ের ও ২৬ জুন ৬ জুলাইয়ের টিকিট দেওয়া হবে।
অনলাইনে টিকেট কাটার জন্য এনআইডি দিয়ে নির্দিষ্ট নিয়মে নিবন্ধন করতে হবে। টিকেট ফেরত দিতে চাইলে রিফান্ডও পাওয়া যাবে। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে।
অনলাইনে টিকিট কিনতে যাত্রীদের জন্য রেলের নির্দেশনা ও শর্তাবলি
আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটপ্রত্যাশীরা জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/জন্মনিবন্ধন যাচাইপূর্বক নিবন্ধন করবেন।
নিবন্ধনের জন্য মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে BR
https://eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইট অথবা “Rail Sheba” অ্যাপে সঠিক NID নম্বর ও জন্ম তারিখ verify করে এবং অন্যান্য তথ্য দেওয়া সাপেক্ষে রেজিস্ট্রেশনপ্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করতে হবে।
বিদেশি নাগরিকরা পাসপোর্ট নম্বর প্রদান ও পাসপোর্টের ছবি আপলোড করার মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।
১২-১৮ বছর বয়সীরা জন্মনিবন্ধন নম্বর প্রদান ও জন্মনিবন্ধন সনদ আপলোড করার মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।
সফলভাবে এনআইডি/পাসপোর্ট/জন্মনিবন্ধন যাচাইপূর্বক নিবন্ধন ব্যতীত কোনো যাত্রী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কিনতে পারবেন না। স্ট্যান্ডিং যাত্রীদের ক্ষেত্রেও রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক।
একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট কিনতে পারবেন। অনলাইনে টিকিট কেনার সময় সহযাত্রীদের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্মনিবন্ধন নম্বর লিপিবদ্ধ করতে হবে।
ভ্রমণের সময়ে যাত্রীকে অবশ্যই নিজস্ব এনআইডি বা জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি/সফটকপি অথবা পাসপোর্ট/ছবিসংবলিত আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। টিকিটের ওপরে মুদ্রিত যাত্রীর নাম ও এনআইডি নম্বর যাত্রী কর্তৃক প্রদর্শিত পরিচয়পত্রের সঙ্গে না মিললে যাত্রীকে বিনাটিকিটে ভ্রমণের দায়ে অভিযুক্ত করা হবে এবং রেলওয়ের প্রচলিত বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।