স্বামীর সমাধির পাশে বসে শুধুই বিলাপ করছেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের খাগবাড়ী গ্রামের পারুলি বালা (৫৫)। কারও সান্ত্বনাই তার এ বুকফাটা কান্না থামাতে পারছে না।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশীরা নকুল বালাকে (৬০) পিটিয়ে আহত করেন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।
সোমবার সন্ধ্যায় নকুল বালাকে তার নিজ বাড়িতে সমাহিত করা হয়। সেই থেকে নকুল বালার স্ত্রী পারুলি বালা তার স্বামীর সমাধির পাশে বসে বিলাপ করছেন।
গত তিন দিন ধরে তিনি শুধু পানি ছাড়া কিছুই খাননি বলে জানিয়েছেন তার পুত্রবধূ বিউটি বালা।
বুধবার সরেজমিন জানা গেছে, তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী বিপুল বালার ছেলে শিশির বালা (২০) লোকজন নিয়ে নকুল বালাকে (৬০) পিটিয়ে আহত করেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এনে ভর্তি করেন। এখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান।
এর পর ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার সন্ধ্যায় নকুল বালাকে তার নিজ বাড়িতে সমাহিত করা হয়।
নকুল বালার পুত্রবধূ বিউটি বালা বলেন, ঘটনার দিন শিশির বালা তার বাড়িতে উচ্চ স্বরে ডেকসেট বাজাচ্ছিল। এ সময় আমার শ্বশুর শিশিরকে নিষেধ করলে সে লোকজন নিয়ে আমার শ্বশুরকে পিটিয়ে আহত করে। এর পর এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় শিশিরসহ ছয়জনকে আসামি করে আমরা কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা করেছি। আমি আমার শ্বশুর হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে শিশির বালার বাড়িতে গিয়ে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোটালীপাড়া থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. জাকারিয়া বলেন, মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। তবে এ মামলার একজন আসামি পলাতক ও পাঁচজন জামিনে রয়েছেন। আমরা পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।