বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার লোকজনদের কেউ যেন শূন্য রেখা অতিক্রম করে কাঁটাতারের ওপারে না যান, এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজুপাড়ার বিজিবি চৌকিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাকিল আহমেদ বলেন, এখন হয়তো সবসময় সব জায়গায় নজরদারি করা যাবে না। আমরা চেষ্টা করি বাংলাদেশি লোকজন যেন সবসময় ওপারে না যায়। তারপরও মাইন বিস্ফোরণের মতো দুর্ঘটনা ঘটলেও আমরা কূটনৈতিকভাবে প্রতিবাদলিপি পাঠাই এবং রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমরা মিয়ানমার সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছি। মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে সাময়িক কিছু সমস্যা হয়েছে। এতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। মিয়ানমারের কোনো নাগরিককে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সীমান্তে আগের তুলনায় জনবল বাড়িয়ে পাহারা জোরদার করা হয়েছে।
বিজিবি মহাপরিচালক তুমব্রু বিওপি, কোনাপাড়া বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক ক্যাম্প, বাইশফাঁড়ি বিওপি এবং রেজুপাড়া বিওপি পরিদর্শন করেন।
এ দিকে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ সীমান্তে আসার আগে থেকে সীমান্তের ওপারে তীব্র গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এ অবস্থায় সীমান্তবাসীরা আতঙ্কে দিন পার করছেন।
প্রসঙ্গত, প্রায় দুই মাস ধরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় ওপারে গোলাগুলি চলছে। কয়েক দিন পর পর এ সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এর ফলে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। আজ বিজিবি মহাপরিচালক পরিদর্শনে আসার আগেও তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন সীমান্তের বাসিন্দারা।