ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকট ও রাজনৈতিক অস্থিশীলতার মধ্যে থাকা শ্রীলংকার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। এদিন রাজধানী কলম্বোয় প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে গোতাবায়ার সামনে শপথ পাঠ করেন বিক্রমাসিংহে।
লঙ্কান সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর জানিয়েছে, শ্রীলংকার ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) এ নেতা শপথ নেয়ার পর আশীর্বাদ নিতে ওয়ালুকারমা মন্দিরে যান।
মাহিন্দা রাজাপাকসের পদত্যাগের পর থেকেই জল্পনা-কল্পনা চলছিল, বিপদকালে কে হবেন শ্রীলংকার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী? এর মধ্যেই গত বুধবার গোতাবায়া রাজাপাকসের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন বিক্রমাসিংহে। তারপর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়, আগে পাঁচবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা রনিল বিক্রমাসিংহেই দেশের হাল ধরতে চলেছেন।
সর্বপ্রথম ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বিক্রমাসিংহে। এরপর ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল, ২০১৫ থেকে ২০১৫ (১০০ দিন), ২০১৫ থেকে ২০১৮ এবং ২০১৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি লঙ্কান প্রধানমন্ত্রীর পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০১৮ সালের অক্টোবরে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করেন। কিন্তু এর দুই মাস পরেই তাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
১৯৪৯ সালের ২৪ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন রনিল বিক্রমাসিংহে। ১৯৭৭ সালে প্রথমবারের মতো দেশটির সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। সে সময় তিনিই সবচেয়ে কম বয়সে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন। ১৯৯৪ সালের পর থেকে তিনি ইউএনপির নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।