শেরপুরে মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। হত্যার পর মরদেহ গুম করতে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। শুক্রবার (৩ জুন) ভোরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর শহরের নিজপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই নারীর নাম নূরবানু (৫৫)। তিনি একই মহল্লার মৃত সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে ফারুককে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে নালিতাবাড়ী পৌর শহরের নিজপাড়া মহল্লায় নূরবানু তার ছেলে ফারুককে নিয়ে একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করতেন। তার অপর ছেলে মনির ঢাকায় চাকরি করেন। ফারুক মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় প্রায়ই তার মাকে মারধর করত।
এদিকে প্রতিরাতের মতো বৃহস্পতিবার রাতেও মা-ছেলে তাদের ঝুঁপড়ি ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। শুক্রবার ভোরে স্থানীয়রা মা নূরবানুর রক্তাক্ত মরদেহ বাড়ির পাশের ভোগাই নদীতে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ নদী থেকে নুরবানুর মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় অভিযুক্ত ফারুক পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশ সোপর্দ করেন।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল ঢাকা পোস্টকে জানান, ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত দা, শীল ও বেলনা জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।