দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপির গণঅনশনের দিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি সবকিছু বেলা শেষ হয়ে গেলে করে। যখন যেটা করা দরকার, তাদের কর্মসূচি তার ধারে কাছেও নেই। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী অতিপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমতে শুরু করেছে। তাই তাদের আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। দ্রব্যমূল্যের দাম কমে আসছে, কমে যাবে।
শনিবার (২ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়নের জন্য বই বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির আন্দোলনের নেতা কে জানতে চেয়ে আওয়ামী লীগ জনগণকে বিভ্রান্ত করছে, দলটির নেতাদের এমন দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, এটা তো জনগণেরই প্রশ্ন। দেশের মানুষ জানতে চায় বিএনপি কথায় কথায় যে আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের দিবা স্বপ্ন দেখে তাতে তাদের নেতৃত্ব দেবে কে? বিএনপি যাকে নেতা বলছে, সে তো দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়েছে। জনগণ দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফিরিয়ে আনতে কেন অভ্যুত্থান করবে? আমরা প্রকৃত সত্য তুলে ধরে জনগণকে বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত করেতে চেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ বুঝে গেছে বিএনপির গণঅভ্যুত্থানের ডাক দুরভিসন্ধিমূলক ফাঁকা আওয়াজ, যা মিথ্যাবাদী রাখাল বালকের শিশুতোষ গল্পের কাহিনী ছাড়া আর কিছু নয়। তারা একেক সময় একেক কথা বলে। দেশে কি গণঅভ্যুত্থানের মতো পরিস্থিতি বিরাজমান আছে? জনগণ শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অর্জনে খুশি। গত ১৩ বছরে বিএনপি বহুবার ডাক দিয়ে সাড়া পায়নি। আন্দোলনের কোনো বস্তুগত পরিস্থিতি বাংলাদেশে কোথাও নেই। দল হিসেবে তাদের প্রস্তুতি আছে বললেও বাস্তবে নেই।’
বিএনপি কখনো নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলে, কখনো নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সর্বশেষ তাদের মাথায় জাতীয় সরকারের ভূত ঢুকেছে। বিএনপি কী চায়, তা নিজেরাই জানে না। তাদের বলব এদিক, ওদিক না ঘুরে বরং নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হয়নি। আন্দোলনও হয়নি, নির্বাচনে অংশ নিতেও ব্যর্থ হয়েছেন। বাকি সময়েও লাভ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
সময় ও স্রোত যেমন কারো জন্য অপেক্ষা করে না, তেমনি নির্বাচনও বিএনপির জন্য অপেক্ষা করবে না জানিয়ে কাদের বলেন, ‘সংবিধান মতে যথাসময়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। এতে আপনাদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। পরিবর্তনের একমাত্র পথ নির্বাচন। নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশের ক্ষমতার মঞ্চের পরিবর্তনের কোনো স্বপ্ন দেখে লাভ নেই।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, দীপু মনি, হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।