চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১৩ জনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। প্রথম বিস্ফোরণে যারা মারা গেছেন তাদের দেহগুলো অঙ্গার হয়ে গেছে। ফরেনসিক টেস্ট ছাড়া নিশ্চিত হতে পারব না কার মরদেহ কোনটি। ফরেনসিক টেস্টের পর মরদেহ শনাক্ত করা যাবে। খুব দ্রুতই ফরেনসিক পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
রোববার (৫ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, সর্বশেষ আমরা ৪৫ জনের মারা যাওয়ার তথ্য পেয়েছি। এরমধ্যে ১৩ জনের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। বাকি মরদেহ ফরেনসিক প্রতিবেদন অনুযায়ী চিহ্নিত করা হবে।
তিনি বলেন, বিএম ডিপোতে দুটি কেমিক্যালের কনটেইনারে বিস্ফোরণ হয়েছে। কোনো ধরনের কেমিক্যাল বঙ্গোপসাগরে যায়নি। এর আগেই সেনাবাহিনী নালায় বাঁধ দিয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ টিম মাঠে কাজ করছে, তারা সার্ভে করছে। রাসায়নিক ছড়িয়ে পড়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সীতাকুণ্ডে সংঘটিত দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সব বাহিনীকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় ১৪৬ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাড়াও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল ও কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, সংকটাপন্ন ৮ রোগীকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ টাকার চেক দেওয়া হবে। আজ ১৩ জনের পরিবারকে এই টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে নিহতদের ৫০ হাজার এবং আহতদের ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হচ্ছে।