দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে প্রেমিককে আটকে রেখে এক তরুণীকে দল বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা শহরের তেলীপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রেমিকসহ ওই তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ। বর্তমানে ওই তরুণী দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী জানান, পঞ্চগড় সদর উপজেলার এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মঙ্গলবার সকালে তার প্রেমিক পঞ্চগড় থেকে চিরিরবন্দরে তাদের বাসায় এসে মা-বাবার কাছে বিয়ের কথা জানান। কিন্তু পরিবার রাজি না হওয়ায় তিনি প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে চিরিরবন্দর রেলস্টেশনে আসেন। পঞ্চগড়ে যাওয়ার কোনো ট্রেন না পেয়ে উপজেলার ঘুঘরাতলী এলাকায় বটগাছের নিচে বসে অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন তারা। স্টেশন থেকে দুটি ছেলে তাদের অনুসরণ করে সেখানে আসেন। ওই দুজনের একজন স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার গাড়িচালকের ছোট ভাই বলে জানতে পারেন তিনি। নাম মোবিন (২০)।
তিনি আরও জানান, ঘুঘরাতলীতে রাত ১০টার দিকে মোবিনসহ দুজন তাদের গন্তব্যের কথা জানতে চান। তাদের সঙ্গে যোগ হয় মাস্ক পরা আরও তিনজন। সব শুনে মোবিন তাদের বলেন, ‘তোমরা পালায় যাচ্ছো কেন? তোমরা যদি বিয়ে করো, আমরা তোমাদের বিয়ে দেব। এখানে আমাদের সভাপতির ছেলে আছে, আমরা বিষয়টা উনাকে জানাইছি। তোমরা চলো আমাদের সাথে।’ এই প্রস্তাবে রাজি না হলে মারধর শুরু করেন ওই তারা। একপর্যায়ে তাদেরকে একটা ভ্যানে তুলে মুঠোফোন কেড়ে নেন ওই যুবকরা। এরপর তাদেরকে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যান তারা। সেখানে প্রেমিককে অন্যত্র আটকে রেখে তাকে দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। এরপর তাকে ধানক্ষেতে ফেলে রেখে চলে যান তারা। পরে তার প্রেমিক ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ গিয়ে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে চিরিরবন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৯৯৯ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়েটির বোন বাদী হয়ে বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তপূর্বক গ্রেপ্তারের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।