প্রায় ১৫ হাজার রুশ সৈন্য হত্যার দাবি ইউক্রেনের

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে তিন সপ্তাহের বেশি সময় আগে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রায় ১৫ হাজার সৈন্যকে হত্যার দাবি করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনীয় সৈন্যদের পাল্টা প্রতিরোধে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর এই প্রাণহানি ঘটেছে বলে রোববার দাবি করেছেন কিয়েভের সামরিক কর্মকর্তারা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলেছেন, ২৫ দিনের লড়াইয়ে প্রায় ১৪ হাজার ৭০০ রুশ সৈন্য নিহত হয়েছে।

চলমান এই সংঘাতে রাশিয়ার বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জামও ধ্বংস করা হয়েছে বলে ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এক হাজার ৪৮৭টি সৈন্যবাহী সাঁজোয়া যান, দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং ৪৭৬টি ট্যাংক হারিয়েছে মস্কো।

তবে ইউক্রেনের এই দাবি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি। যদিও পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্রগুলো ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার ৭ হাজারের মতো সৈন্য নিহত এবং ১৪ হাজার থেকে ২১ হাজারের মতো সৈন্য আহত হয়েছে বলে আভাস দিয়েছে।

ইউক্রেনে ফের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

এদিকে, দ্বিতীয়বারের মতো ইউক্রেনে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে রাশিয়া। দেশটির দক্ষিণের মাইকোলাইভ অঞ্চলে সাঁজোয়া যানে জ্বালানি সরবরাহ করা হয় এমন একটি ডিপো লক্ষ্য করে রোববার এ হামলা চালানো হয়। হামলায় ওই ডিপো ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

এছাড়া উত্তর ইউক্রেনের ওভরুচ শহরের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনীর ১০০ জনেরও বেশি সদস্য এবং অনেক বিদেশি ভাড়াটে সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সমুদ্র থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ওই হামলা চালানো হয়।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি কিনঝাল ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে মাইকোলাইভ অঞ্চলের কোসতিয়ান্তিনিভকার বসতির কাছে ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর জ্বালানি এবং লুব্রিকেন্টের বিশাল একটি মজুত ধ্বংস করা হয়েছে।

জ্বালানির ওই ডিপোটি দক্ষিণে ইউক্রেনে নিয়োজিত সাঁজোয়া যানগুলোর জ্বালানির প্রধান উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। মন্ত্রণালয় বলেছে, রাশিয়া-নিয়ন্ত্রিত ক্রিমিয়া দ্বীপের আকাশসীমা থেকে মাইকোলাইভ অঞ্চলে কিনঝাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। এছাড়া কাস্পিয়ান সাগর থেকেও ডিপোটি লক্ষ্য করে কালিবার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।

এর আগে, শনিবার ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো নতুন কিনজাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালানোর দাবি জানায় রাশিয়া। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে রোমানিয়া সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে ভূগর্ভস্থ একটি অস্ত্রাগার ধ্বংস করতে ওই ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার করা হয় বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ