পূজা মানেই মজার সব খাবারের আয়োজন। খাবার ছাড়া কি আর উৎসবের আনন্দ গাঢ় হয়! এই আয়োজনে থাকে দেশীয় নানা পদ। দুধ, দই, মুড়ি, মুড়কি, বাতাসা, সন্দেশ, পিঠা, পায়েস- কী থাকে না! তবে সবকিছু ছাপিয়ে পূজার খাবার হিসেবে জনপ্রিয় কিছু পদ রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই ৫ পদের খাবার সম্পর্কে-
নাড়ু
পূজা শব্দটি শুনলে সবার আগে যে খাবারের নাম মনে পড়ে সেটি হলো নাড়ু। পূজা এলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে এই নাড়ু তৈরির ধুম পড়ে যায়। নারিকেল, গুড়, চিনি, তিল, বাদাম, কিশমিশ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা হয় বিভিন্ন স্বাদের নাড়ু। গুড়ের তৈরির নাড়ুর পাশাপাশি অনেকে আবার পছন্দ করেন চিনি দিয়ে তৈরির ধবধবে সাদা রঙের নাড়ু। স্বাদে অনন্য এসব নাড়ু পূজার আনন্দ বাড়িয়ে দেয় শতগুণ।
লুচি-আলুর দম
পূজার খাবারে যেসব খাবার বেশি পরিচিত তার মধ্যে নাড়ুর পরেই আসে লুচি ও আলুর দমের নাম। এই দুই পদ না হলে যেন চলেই না! গরম গরম ফুলকো লুচির সঙ্গে আলুর দম জিভে জল এনে দেয়। এই দুই খাবার তৈরির প্রক্রিয়াও জটিল নয়। রেসিপি শিখে নিয়ে খুব সহজেই তৈরি করা যায় লুচি ও আলুর দম। এর সঙ্গে থাকে নানা ধরনের চাটনি। সেসব চাটনি খাবারের রুচি বাড়াতে কাজ করে।
নিরামিষ
পূজার খাবারের অন্যতম আকর্ষণ হলো নিরামিষ। বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে এটি তৈরি করা হয়। নিরামিষ তৈরি করা যায় নানাভাবে। কয়েক ধরনের সবজি একসঙ্গে মিলিয়ে রান্না করা হয় লাবড়া। খিচুড়ি কিংবা লুচির সঙ্গে এটি খেতে বেশ লাগে। স্বাদ, সুঘ্রাণ, পুষ্টিতে এই পদ অনন্য।
খিচুড়ি
অষ্টমীর দিনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় খাবার হলো খিচুড়ি। এই খিচুড়ি রান্না করা হয় ঘরেই। শিশু থেকে বয়স্ক, সবার কাছেই পছন্দের খাবার এটি। চাল ও কয়েক রকমের ডাল সহযোগে রান্না করা হয় সুস্বাদু খিচুড়ি। তার সঙ্গে কয়েক রকমের ভাজা, বেগুনি, চাটনি ও আচার যোগ হয়ে আরও বেশি লোভনীয় করে তোলে।
মিষ্টি
পূজার আয়োজন অসম্পূর্ণ থেকে যায় যদি না তাতে মিষ্টি থাকে। শেষ পাতে মিষ্টি না হলে কি চলে! রসগোল্লা, চমচম, লালমোহন, সন্দেশ, ক্ষীর, দই আরও কত কী! এছাড়াও পূজার পরিচিত মিষ্টি জাতীয় খাবারের তালিকায় রয়েছে চিনির সন্দেশ, বাতাসা, তালের বড়া ও দুধপুলি পিঠা।