পদ্মা সেতু ব্যবহারে বিএনপি নেতাদের লজ্জা করে না— এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতু হলো জোড়াতালি দিয়ে, এখন খুলনাতে তিন ঘণ্টায় সমাবেশ করতে যান। এখন পদ্মা সেতুতে উঠছেন কেন? আপনাদের দেশনেত্রী তো বলেছে পদ্মা সেতু জোড়াতালি দিয়ে হয়েছে। এই সেতু এখন কেন ব্যবহার করেন? লজ্জা করে না?
বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তিসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর শ্যামলী স্কয়ার প্রাঙ্গণে এই শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ দেখলাম একটি কিশোর ইন্টারভিউতে বলেছেন, আমি থাকি নিউইয়র্ক, ঢাকায় এসেছি। এটা তো ঢাকার মেট্রো নয়, নিউইয়র্কের মেট্রো।
তিনি বলেন, আজ শেখ হাসিনা মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল করেছেন, লজ্জায় তাদের মাথা হেঁট হয়ে যায়। জ্বালা রে, অন্তর জ্বালা। হায় রে, যেটা আমরা পারলাম না শেখ হাসিনা করেই ফেলল? ভোটের রাজনীতিতে হেরে গিয়ে রেখে যাচ্ছে। বিএনপির নেতারা গোসসা করবেন না। গোসসা করে লাভ নেই। বাংলার জনগণ আগামী ২৪ নির্বাচনেও ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে টানা চতুর্থবার ক্ষমতা বসাবে।
তিনি আরও বলেন, বড়লোকদের বাড়ির সামনে লেখা থাকে কুকুর থেকে সাবধান। জনগণ বলে তারেক থেকে সাবধান। বিএনপি থেকে সাবধান। খেলা হবে, বাংলাদেশ আর রক্তপাতে ফিরে যাবে না। লন্ডনে বসে বলে ‘টেক ব্যাক’। বাংলাদেশের মানুষ আর হাওয়া ভবনে ফিরে যাবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা নাকি রাষ্ট্র মেরামত করবে। বিএনপি এই রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে। তারা এই রাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এরা (বিএনপি) নষ্ট রাজনীতি করে। যারা নষ্ট রাজনীতি করে তারা রাষ্ট্র মেরামত করতে পারে না।
শান্তি সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।