উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া আর রাতভর বৃষ্টির মতো ঝড়তে থাকা ঘন কুয়াশায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে উত্তরের হিমাঞ্চল জেলা পঞ্চগড়। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি রাতে অনবরত ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীতার্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দুর্ভোগে পড়েছেন অসহায় ছিন্নমূল মানুষ।
এর আগে গতকাল শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি জানান জেলার আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
তিনি বলেন, গতকালের পর আবার তাপমাত্রা নিম্নমুখী হয়েছে। দুইদিন ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ডের পর শনিবার ভোর ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে কুয়াশা নেই। সকালেই সূর্যের দেখা মিলেছে। জনজীবনে স্বস্তি ফিরেছে। মাঘ মাস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠানামা করতে পারে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইলেও শনিবার সকালে সূর্য দেখা দেওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে। সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রমজীবীদের মাঝে কর্মচঞ্চল্যতা দেখা গেছে। তবে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন লোকজন। শীত দুর্ভোগের কারণে কামাই-রোজগার কমে যাওয়ায় অনেকে শীতজনিত রোগ বেড়ে যাওয়ায় টাকার অভাবে ওষুধপত্র কিনতে পারছেন না অনেকে।
এদিকে সারাদেশে তাপমাত্রা কিছুটা কমছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি পর্যন্ত কমে শীত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে এর পরের কয়েকদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে শীত কমতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।