তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত দুই শতাধিক ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের মধ্যে এমপিওভুক্ত হচ্ছেন মাত্র ৭১ জন। গত ৬ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-সচিব সোনা মনি চাকমা স্বাক্ষরিত জারি করা একটি আদেশ থেকে বিষয়টি জানা যায়।
তবে একই গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত আরও শতাধিক ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষক এ আদেশের বাইরে রয়েছেন। একই পরিপত্রে সরকারি বিধি মোতাবেক এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও তারা এমপিওবঞ্চিত প্রায় তিন মাস। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা একাধিকবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব এবং শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিলেও ইতিবাচক কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এনটিআরসিএ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ডিগ্রি ৩য় শিক্ষক ফোরামের মুখপাত্র ও বনপাড়া ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা কয়েকবার মাউশি মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করলে তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেন যে, ডিগ্রি ৩য় শিক্ষকের এমপিও হলে সবাই পাবে। কিন্তু এরই মধ্যে ২০২২ সালে আমরা যারা নিয়োগ পেয়েছি, তাদের অধিকাংশকে বাদ দিয়ে এমপিও আদেশ জারি করা হয়েছে। যার কারণে আমরা আজ হতাশ। একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেয়েও কেউ পাবে, কেউ পাবে না এ যেন দ্বৈত নীতির অমানবিক বৈষম্য।
তিনি বলেন, আমরা একই পরিপত্রে বৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছি, তাই ২০২২ সালসহ এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত সকল ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের একযোগে এমপিও পাওয়া উচিত। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দ্রুত বিষয়টি বিবেচনা করে এমপিও এর ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, এটা একটা জটিল ব্যাপার। সংকট আছে, এটা সত্যি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংকটটা জড়িত। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, যাদের প্রাপ্যতা নেই কিন্তু তারপরও শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। সেখানে তো আর দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করছি। আশা করি, দ্রুত একটা সমাধান হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক আদেশে ১৫৩জন ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষক এমপিওভুক্ত হন। এছাড়াও ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত ৭৭০ জন এবং এনটিআরসিএ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ৭১ জন ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষক এমপিওভুক্তির আদেশ পান। কিন্তু ২০২২ সালে এনটিআরসিএ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত আরও শতাধিক ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষক রয়েছেন, যাদের এই আদেশের বাইরে রেখেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।