দেশের বাজারে মার্কিন ডলারের সংকটের কারণে হু হু করে বাড়ছে দাম। বিক্রি করেও ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোমবার (২৩ মে) প্রতি মার্কিন ডলারের দাম ৪০ পয়সা বাড়িয়ে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
ফলে এক দিনেই ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও ৪০ পয়সা কমে গেল। ২৭ দিনের ব্যবধানে চার দফায় ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন হলো ১ টাকা ৭০ পয়সা।
সোমবার (২৩ মে) আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা। এক দিন আগেও প্রতি ডলারে লেগেছিল ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। গত ১০ মে ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা এবং ২৭ এপ্রিল ছিল ৮৬ টাকা ২০ পয়সা।
ব্যাংকগুলো নগদ ডলার বিক্রি করছে এর চেয়ে পাঁচ থেকে ছয় টাকা বেশি দরে। ব্যাংকের বাইরে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে ৯৭ থেকে ৯৮ টাকায়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে ব্যাপক হারে আমদানির চাপ বেড়েছে। ফলে আমদানির দায় পরিশোধে বাড়তি ডলার লাগছে। কিন্তু সেই তুলনায় রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়েনি। ফলে ব্যাংক ব্যবস্থায় ও খোলাবাজারে মার্কিন ডলারের ওপর চাপ বাড়ছে। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ কারণে টাকার বিপরীতে বাড়ছে ডলারের দাম। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যাংকগুলোর চাহিদার বিপরীতে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডলারের দাম পুনঃনির্ধারণ করে ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা করা হয়েছে। বিশ্ব বাজারে জ্বালানিসহ অন্যান্য দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও দেশের আমদানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে।