আর বেশি দেরি নয়, জুন মাসেই চন্দ্রালোকিত পূর্ণিমা রাতে পদ্মা সেতু থেকে দাঁড়িয়ে বাংলার মানুষ পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পাবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহের শেষে সামারি পাঠাব নেত্রীকে। তিনি তখন সময় দেবেন। সেই সময় আমরা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করব।
শনিবার (২১ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ দিয়ে বিশ্ব ব্যাংক তাদের সহযোগিতার হাত ফিরিয়ে নিয়েছিল। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বজ্রকন্ঠে বলেছিলেন বিশ্ব ব্যাংক চলে গেলেও আমরা আমাদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করব। বঙ্গবন্ধু কন্যার সে স্বপ্ন আজ সত্যে পরিণত হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ১৩ বছর আগের বাংলাদেশ এর আজকের বাংলাদেশ কোথায়! শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই দেশের চেহারা পাল্টে গেছে। শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ অন্ধকার থেকে আলোর পথের যাত্রী। শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু জাতিকে রাজনৈতিক স্বাধীনতা দিয়েছেন আর শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছেন। আমাদের আজকের মুক্তি সংগ্রামের কাণ্ডারি শেখ হাসিনা।
দেশের মানুষ ভালো থাকলে বিএনপির মন খারাপ, দেশের মানুষ ভালো থাকলে মির্জা ফখরুলের মন খারাপ থাকে বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ১৩ বছর আন্দোলন করলেন। ঈদ আসলেই বলেন ঈদের পর। ১৩ বছরে কত ঈদ এল আর গেল, দেখতে দেখতে প্রায় ১৪ বছর। আন্দোলন হবে কোন বছর? বিএনপি সেখানেও ফেল করেছে, নির্বাচনেও ফেল করেছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পদ্মা সেতু হয়েই গেল, কর্ণফুলী টানেল হয়েই গেল, তরুণ প্রজন্মের মেট্রোরেল হয়েই গেল। ফখরুল সাহেব কি বলবেন, শেখ হাসিনা সব করেই ফেলল, আমরা কিছু করতে পারলাম না। নির্বাচন আসছে কী দেখাবেন, কী দেখিয়ে ভোট চাইবেন। নেতা কে পলাতক দণ্ডিত তারেক রহমান? প্রধানমন্ত্রী হবে কে দণ্ডিত খালেদা জিয়া?
তিনি বলেন, করোনা সংকটের মধ্যেও শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন তিনি একজন ক্রাইসিস ম্যান। শেখ হাসিনা দেশে-বিদেশে সমানভাবে জনপ্রিয়। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সফল নেতা আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন বলে আজকে দেশে এত সমৃদ্ধি, এত সাফল্য।
ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল। এছাড়া আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।