চুল পড়ার সমস্যা বাড়লে চুলের সৌন্দর্য তো নষ্ট হয়ই, সেইসঙ্গে এটি বিভিন্ন অসুখের লক্ষণও প্রকাশ করতে পারে। তাই চুল পড়ার পরিমাণ বাড়লে নিজের প্রতি আরও বেশি যত্নশীল হতে হবে। বাইরে থেকে যত্ন তো নেবেনই, খাবারের তালিকায়ও যোগ করতে হবে কিছু খাবার। কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে চুল পড়ার সমস্যা অনেকটাই কমে।
চুল পড়ার সমস্যা কমাতে কিছু খাবার বাদ দিতে হবে, যেগুলো চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। অতিরিক্ত মসলাদার, ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে খাবারের তালিকা থেকে। সতেজ ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এছাড়াও বিশেষ তিনটি খাবার আপনাকে চুল পড়া থেকে মুক্তি দিতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
মেথি খাওয়ার উপকারিতা
চুল পড়ার সমস্যা বন্ধ করতে অন্যতম কার্যকরী খাবার হলো মেথি। এটি বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। সবজির ফোড়ন হিসেবে রাখতে পারেন মেথির ব্যবহার। সালাদে মেথির গুঁড়া খেতে পারেন। খাওয়া ছাড়াও এটি চুলের যত্নে ব্যবহার করা যায়। সেজন্য অল্প নারকেল তেলে মেথি দিয়ে গরম করে নিতে হবে। তারপর ঠান্ডা করে তা মাথায় লাগিয়ে নিতে হবে। আলতো হাতে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করে নেবেন। এভাবে সারারাত রেখে পরদিন গোসল করে নেবেন।
অলিভ বীজ খাওয়ার উপকারিতা
চুলের যত্নে উপকারী খাবার হলো অলিভ বীজ। চুলের যেকোনো সমস্যা দূর করতে কাজ করে এটি। এক চামচ অলিভ বীজ দুধের সঙ্গে ভিজিয়ে খেতে পারেন। নারিকেল এবং ঘি দিয়ে তৈরি লাড্ডুতে ব্যবহার করতে পারেন অলিভ বীজ। পুষ্টিবিদরা বলেন, এতে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়। কেমো চললে চুল ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সব চুলই প্রায় উঠে যায়। এই সময়েও চুল গজানোর জন্য অলিভ বীজ খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
জায়ফল কেন খাবেন
চুলের যত্নে খাবারের তালিকায় জায়ফল যোগ করার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। এক গ্লাস হালকা গরম দুধের সঙ্গে এক চিমটি জায়ফল মিশিয়ে খেয়ে নিন। আবার এই জায়ফল নাইটক্যাপ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। জায়ফলে থাকা ভিটামিন বি৬, ফলিক অ্যাসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম চুল পড়া বন্ধ করে। সেইসঙ্গে এটি চুলের ডগা ভেঙে যাওয়া প্রতিরোধ করে।