তেল-পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের বাজারে অস্বস্তি লেগেই আছে। ভোগ্যপণ্যের দাম একবার বাড়ে তো আর কমতে চায় না। রমজানে গরুর মাংসের দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল কোনো ঘোষণা ছাড়াই। এখনো রাজধানীর বাজারগুলোতে সেই ৭০০ টাকা দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও সোনালী কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা করে।
শুক্রবার (১৩ মে) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২, উত্তর পীড়েরবাগ ছাপড়া মসজিদ কাঁচাবাজার ঘুরে এতথ্য জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদ পরবর্তী ঢাকায় ফেরা মানুষের ভীড় বেড়েছে। তার প্রভাব যেন পড়েছে মাংসের দোকানগুলোতে। শুক্রবার ছুটির দিনে ক্রেতা সমাগম বাড়লেও দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে ক্রেতাদের।
কাদের গোশতো বিতানে গিয়ে দেখা যায়, সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি সাতশ টাকা, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।
বেড়েছে পাকিস্তানি সোনালী মুরগির দাম। ১৫ দিন আগেও ছিল ২৮০ টাকা। সেই সোনালী মুরগি বিক্রি হতে দেখা যায় ৩০০ টাকায়, লেয়ার ২৭০ টাকা। আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে।
মাংস বিক্রেতা আওয়াল বলছেন, গরুর দাম বেড়েছে। সঙ্গে ঢাকায় আনার খরচাটাও। যার প্রভাব পড়েছে মাংসের দামে। ঈদ থেকেই গরুর মাংস ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
তবে মুরগির দাম ওঠানামা করছে জানিয়ে এ বিক্রেতা জানান, গতকাল ছিল সোনালী মুরগির দাম ছিল কেজি ২৯০ টাকা, আজ তা ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩০০ টাকা।
একই দোকানে ডিম (লেয়ার) প্রতি ডজন পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়, খুচরায় তা ১২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম ডজন ১৫০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ১৭০ টাকা।
ফজলুর রহমান নামে স্যানিটারি মিস্ত্রী মাংস কিনতে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মাংসের দাম আমাদের নাগালের বাইরে যাচ্ছে। যে দাম তাতে আমাদের মতো নিম্ন মধ্যবিত্তের কিনে খাওয়া কঠিন। আগে এক কেজি কিনতাম, আজ আধাকেজি কিনতেও কষ্ট হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার তো এসব দেখে না। দোকানদারও জিম্মি। দাম বাড়লে বা কমলে ব্যবসায়ীদের লোকসান হয় না। তবে দাম বাড়লে সাধারণ ক্রেতাদের সমস্যা হয়।
মরিয়ম গোশতো বিতানের মালিক বাবুল শিকদার বলেন, যেখান থেকে গরুর সাপ্লাই হয় সেখানেই যদি দাম বাড়ে তাহলে কি করবার পারি। খোঁজ নেন, আপনার গ্রামে গরুর গোশতের দাম এখন কতো! আর গরু ক্যারিয়ার খরচাও বাড়ছে। রাস্তায় পুলিশকে খরচা না দিলে গরু আনা দায়।