বিদ্যুৎ–সংকট মোকাবিলায় দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লোডশেডিং হতে পারে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত। কোন এলাকায় কখন লোডশেডিং হবে, তা এরই মধ্যে জানিয়েছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)।
ডিপিডিসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বিকাশ দেওয়ান বলেন, এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সময়সূচির সম্ভাব্য তালিকা ডিপিডিসির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘সম্ভাব্য লোডশেডিং শিডিউল’ নামের লিঙ্কে ক্লিক করলেই সময়সূচি জানতে পারবেন বলে জানান তিনি।
লোডশেডিংয়ের শিডিউল দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী জানান, চলমান বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে রুটিন মেপে লোডশেডিং, মসজিদে এসি বন্ধ রাখা, রাত ৮টার পর দোকানপাট বন্ধ রাখা, সপ্তাহে একদিন পেট্রল পাম্প বন্ধ রাখা, অফিসের সময় ১-২ ঘণ্টা কমানোর চিন্তার পাশাপাশি ডিজেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন আপাতত বন্ধ করেছে সরকার।
তিনি জানান, সংকট সমাধানে দেশে ডিজেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া আপাতত হোম অফিস চালু করা, অফিসের সময় ১-২ ঘণ্টা কমিয়ে আনাসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কাছে সুপারিশ পাঠানো হবে।