গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা আসছেন, বাস থেকে নামছেন। এই রাস্তা দিয়ে ১০-১২ লাখ লোক চলাচল করছে। একটু জ্যাম (যানজট) থাকবেই। আশুলিয়া রোডেও কন্সট্রাকশনের কাজ হচ্ছে, এজন্যই একটু জ্যামের সৃষ্টি হয়েছে। আশা করছি, আগামীকাল থেকে জ্যাম কমে আসবে।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি উপলক্ষে আয়োজিত ব্রিফিং প্যারেড শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। প্যারেডে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
জিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা ট্রাফিক বিভাগকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে ঢেলে সাজিয়েছি। আব্দুল্লাহপুর থেকে ধীরাশ্রম একটা সেক্টর, আরেকটা মুন্নু গেট থেকে কামারপাড়া ব্রিজ, কামারপাড়া ব্রিজ থেকে ভোগড়া চৌরাস্তা, ভোগড়া চৌরাস্তা থেকে তিনশ ফিট রাস্তা এবং চৌরাস্তা কোনাবাড়ি হয়ে ডাইভারশন রোডকে ভাগ করেছি। যদি আমরা দেখি রাস্তায় জ্যাম চলে আসে তাহলে তিনশ ফিট হয়ে আমরা ঢাকায় গাড়ি ঢুকাবো ও আশুলিয়া হয়ে কোনাবাড়ি দিয়ে জয়দেবপুর চৌরাস্তায় গাড়ি ঢুকবে। দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি)। এতে মহাসড়ক বন্ধ হয়ে পড়লে রোড ডাইভারশন দেওয়া হবে।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দুই বছর পর আবার ইজতেমা হচ্ছে। এখানে লাখ লাখ মানুষ আসবেন। আমাদের কাজ হলো যেকোনো মূল্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এর মাঝে কেউ যদি কোনো কারণে তার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করে বা নিয়মের ব্যত্যয় হয়, তবে আমি বলছি, তোমরা চাকরিটা হারাবা। একজন পুলিশ কমিশনার হিসেবে আবারও বলছি, তোমরা চাকরিটা হারাবা। তোমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে নিজ নিজ ইউনিটে ফেরত পাঠানো হবে। এখানে সারা বাংলাদেশ থেকে পুলিশ সদস্যরা এসেছেন। সবার ফোন নম্বর আমাদের কাছে আছে। সবাইকে এমনভাবে মনিটর করা হবে যে কেউ টেরই পাবা না। কেউ দায়িত্বে অবহেলা করলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কাছে তথ্য চলে আসবে। এরপর যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার, নেওয়া হবে।
ইজতেমা চলাকালে যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে সব পুলিশ সদস্যকে চোখ-কান খোলা রাখার আহ্বান জানিয়ে মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, ইজতেমা নিয়ে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে উসকানি বা বিভ্রান্তিকর কথা ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করবে। এমন কোনো কিছু যদি কারও চোখে পড়ে, তবে অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। অনেকে লিফলেট বিতরণ করে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করবে, সেদিকও কড়া নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি মুসল্লিদের গ্যাস সিলিন্ডারে রান্না বা বাইরে থেকে খাবার আনাসহ সব দিকে খেয়াল রাখতে হবে।