প্রযুক্তি জগতে বড় বিপ্লব আনতে যাচ্ছে মেটা, জানালেন জুকারবার্গ

নাম বদল হয়েছে ফেসবুকের। মার্ক জুকারবার্গের কোম্পানির নতুন নাম মেটা। মেটাভার্স, একটি শব্দ যা তিন দশক আগে একটি ডিস্টোপিয়ান উপন্যাসে প্রথম উদ্ভাবিত হয়েছিল। মেটাভার্স মানবজীবনে আরও বেশি করে প্রাসঙ্গিক হবে বলে বিশ্বাস জুকারবার্গের।

সংস্থার নাম বদল সংক্রান্ত তথ্য সম্পর্কে জুকারবার্গ বলেন, গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে মেটাভার্সের প্রয়োজন হবে। যেমন- কাউকে আপনার স্পেসে ঢোকা থেকে আপনি নিজেই তাকে ব্লক করতে পারবেন।

মেটাভার্স হবে পরবর্তী সবচেয়ে বড় কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম। এটিকে মোবাইল ইন্টারনেটের উত্তরসূরিও বলা যেতে পারে। মেটাভার্স মানবজীবনে প্রযুক্তির প্রভাব আরও বেশি মাত্রায় বাড়িয়ে দেবে বলে আশাবাদী জুকারবার্গ।

২০০৪-এর ৪ ফেব্রুয়ারি পথচলা শুরু ফেসবুকের। ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার, অকুলাস, হোয়াটসঅ্যাপ সবই মাদার কোম্পানি ফেসবুকের অধীনস্থ। সেই ফেসবুকের নামই এখন মেটা। জুকারবার্গের দাবি, মেটাভার্সের মাধ্যমে ভার্চুয়াল দুনিয়ায় যোগাযোগ আরও বাড়বে। আড্ডার মেজাজ হবে আরও বেশি স্বস্তিদায়ক।

ইন্টারনেট গেমস থেকে শুরু করে অনলাইন কেনাকাটায় মেটাভার্সই ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। ফেসবুকের এই পরিবর্তন নেটদুনিয়ায় বিপ্লব এনে দেবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

আগামী মাস থেকেই মেটা অ্যাকাউন্ট নামের নতুন ধরনের লগইন সিস্টেম আনতে চলেছে সংস্থা। ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে একটি ব্লগ পোস্টে সেকথা নিশ্চিত করেছেন মার্ক জুকারবার্গ।

মেটা থেকে জানানো হয়েছে, মেটা অ্যাকাউন্টগুলো ভিআর ব্যবহারকারীদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড লগইন হবে। তবে, ১৩-১৭ বছর বয়সীদের জন্য মেটা অ্যাকাউন্টগুলো ডিফল্টভাবে থাকবে।

কোম্পানিটি ২০১৯ সালে অ্যাপ জুড়ে তার মেসেজিং কাঠামোকে একীভূত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। পরে একটি পেমেন্ট পরিষেবা চালু করেছে, যা এখন মেটা পে নামে পরিচিত। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইনস্টগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ জুড়ে লেনদেন প্রক্রিয়া করতে পারেন।

ইউজারদের তাদের প্রোফাইলগুলোকে একটি ইউনিফাইড মেটা অ্যাকাউন্ট সেন্টারে সংযুক্ত করার বিকল্পও থাকবে। যা তাদের ভিআর অভিজ্ঞতার সঙ্গে ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ইনস্টগ্রাম থেকে বিদ্যমান সামাজিক যোগাযোগগুলোর অ্যাকসেস দেবে। মেটাভার্স’ শব্দটি প্রযুক্তি শিল্পের কল্পনার জগতে সর্বশেষ আলোড়ন ফেলা একটি শব্দ।

মেটাভার্সের ধারণা এতটাই আলোড়ন তুলেছে যে, সবচেয়ে বিখ্যাত ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মগুলো মেটাভার্সের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করতে জন্য নিজেদের রিব্র্যান্ডিং করছে। মেটাভার্স একটি ডিজিটাল দুনিয়া।

এই অসাধারণ প্রযুক্তির কারিগরি অনেকে ইতোমধ্যেই প্রত্যক্ষ করেছেন। এমন এক দুনিয়া যেখানে শপিং মলে না গিয়েও জামা কাপড়ের ট্রায়াল থেকে গাড়ির টেস্ট ড্রাইভ সবকিছু সেরে নিতে পারবেন।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ