মার্কিন সব নেতার মৃত্যুও সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ হবে না: ইরান

দুই বছর আগে মার্কিন হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) শীর্ষ কমান্ডার কাশেম সোলেইমানি নিহতের প্রতিশোধে মার্কিন সব নেতাকে হত্যা করা হলেও তা যথেষ্ঠ হবে না। বুধবার ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা এই মন্তব্য করেছেন।

২০২০ সালে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের বিমানবন্দরের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় সোলেইমানি হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান পূর্ণ সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছিল। পরে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায় তেহরান।

আইআরজিসির জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ পাকপোরের বরাত দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শহীদ সোলেইমানি এতটাই মহৎ চরিত্রের অধিকারি ছিলেন যে, যদি সব আমেরিকান নেতাকে হত্যা করা হয়, তারপরও এটি সোলেইমানি হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ হবে না।

‌‘সোলেইমানির পথ অনুসরণ করে এবং অন্য উপায়ে আমাদের প্রতিশোধ নেওয়া উচিত।’ তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন বলেছিল, সোলেইমানিকে মার্কিন স্বার্থের ওপর ভবিষ্যৎ হামলা পরিকল্পনার জন্য লক্ষ্য করা হয়েছিল এবং তিনি অতীতে ইরাকে আমেরিকান সৈন্যদের ওপর মিলিশিয়াদের হামলায় সাহায্য করেছিলেন।

২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য তেহরানের দাবি অনুযায়ী, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সকে যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেওয়াকে সমর্থন করেন না বলে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধান ও জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ মার্ক মিলি মন্তব্য করার পর মোহাম্মদ পাকপোর ওই হুশিয়ারি দিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্তে ইরান পারমাণবিক কর্মসূচির লাগাম টানতে রাজি হয়েছিল ওই চুক্তিতে। কিন্তু তেহরান চুক্তির শর্ত মানছে না অভিযোগ করে ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখন সেই চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ইরানের সঙ্গে পরোক্ষভাবে আলোচনা শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ