করোনা শেষে কুয়েত প্রবাসীদের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা

কুয়েতে মহামারি করোনার প্রথম শুরুটা হয়েছিল ২০২০ সালের মার্চে। করোনা নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয় কঠোর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও বিধিনিষেধ। দেশটিতে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও গণটিকার ফলে ধাপে ধাপে করোনা নিয়ন্ত্রণে চলতি বছরের ১৩ মার্চ থেকে সব ধরনের বিধিনিষেধ শিথিল করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার ঘোষণা দেয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত।

আগের মতো স্বাভাবিক নিয়মে চলছে সব ধরনের কার্যক্রম। করোনাকালীন সময়ে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান নিদিষ্ট নিয়মের মধ্যে পরিচালিত হয়েছে। প্রবাসী ব্যবসায়ীরা ভর্তুকি দিয়ে প্রতিষ্ঠান ধরে রেখেছেন। আবার অনেকেই ভর্তুকি দিতে না পারায় প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দেশে চলে গেছেন। আবার কেউ কেউ পেশা পরিবর্তন অন্য পেশায় যোগ দিয়েছেন। করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন দেশের শ্রমিকরা দেশে চলে যাওয়াতে শ্রমিক সংখ্যা কম হওয়ায় প্রচুর কাজের চাহিদাও সৃষ্টি হয়েছে।

ওই সময়ে যে ক্ষতি হয়েছে সেই ক্ষতি পোষাতে আরও সময়ের প্রয়োজন বলে মনে করনে ব্যবসায়ীরা। এদিকে বিমান চলাচলও স্বাভাবিক হওয়াতে লোকসমাগম বেড়েছে। বেচাকেনায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসায় করোনার ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চলছে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের।

কুয়েতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কার্গো ব্যবসায়ী মহসিন পারভেজ বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ফ্লাইট বন্ধ থাকার ফলে আমরা অনেক আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছি। কুয়েতে এখন সব কিছু স্বাভাবিক হলেও বাংলাদেশের বিমানবন্দরে কার্গো জটিলতার কারণে সরাসরি মাল পাঠাতে হয়রানি ও ভোগান্তি শিকার হতে হয়। সরকার যদি সুদৃষ্টি দেয় তাহলে আর্থিক ক্ষতি ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠা সম্ভব।

কুয়েত সিটির ওয়াতানিয়া মার্কেটের ফেনীর ব্যবসায়ী কবির আহমদ বলেন, করোনাকালীন সময়ে প্রবাসী ব্যবসায়ীদের যে ক্ষতি হয়ে সেটা আগামী ৫ বছরেও পূরণ হবে না। বর্তমানে কুয়েতের পরিস্থিতি আগের মতো স্বাভাবিক ব্যবসায় বাণিজ্য বেচাকেনা ভালো।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ