দক্ষিণ সুদানে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

বিশ্বের সংঘাতময় এলাকাগুলোতে শান্তিরক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শান্তিসেনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। উপদ্রুত এলাকার রাস্তাঘাট মেরামত, চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের ভূমিকা প্রশসংনীয়। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা বহির্বিশে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করছে। প্রতিকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন সেনা সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধিতেও অবদান রাখছে।

দক্ষিণ সুদানে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীরা নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত মানবিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। একদিকে অস্ত্র হাতে নিরাপত্তা টহলে সক্রিয় অংশগ্রহণ করছেন, অন্যদিকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, গবাদিপশুর চিকিৎসা, বিনামূল্যে বই-খাতা ও ষ্টেশনারীজ প্রদান, স্থানীয় কৃষকদের কৃষি উপকরণসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি বীজ সরবরাহ, ছিন্নমূল মানুষদের জামা-কাপড় সরবরাহ, যুবক ও শিশুদেরকে খেলাধুলা সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের পরম বন্ধু রুপে আবির্ভূত হয়েছেন বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা । নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এসব মানবিক সেবা দেওয়ায় দক্ষিণ সুদানবাসী বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস-২০২৩ উদযাপনের লক্ষ্যে দক্ষিণ সুদানের বাহার আল গজল প্রদেশে নিয়োজিত ব্যানব্যাট-৬ কন্টিনজেন্ট ওয়াও শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ফ্রি চিকিৎসা সামগ্রী ও ঔষধ হস্তান্তর করেন। বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সেখানে যে সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ দেখা যায়, তাতে পারস্পারিক আস্থার একটি মেলবন্ধন পরিলক্ষিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে বাহার আল গজল প্রদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রী, ডিজি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়, ব্যানব্যাট-৬ এর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ শাফকাত-উল-ইসলাম, পাবলিক রিলেশন অফিসার লেঃ কর্নেল মোঃ রুহুল আমিন, ইন্টেলিজেন্স অফিসার লেঃ কর্নেল মোঃ মাকসুদূল আলম সহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকগন উপস্থিত ছিলেন।

ব্যানব্যাট-৬ এর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ শাফকাত-উল-ইসলাম বলেন, প্রতিমাসে ওয়াও শহর ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশী কন্টিনজেন্ট কর্তৃক ফ্রি চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। এখানে ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর অপ্রতুলতার জন্য স্থানীয় জনসাধারণ সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত । বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দক্ষিন সুদানে অবস্থিত বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী কর্তৃক আজ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান করা হলো।

এ প্রসংগে কন্টিনজেন্ট পাবলিক রিলেশন অফিসার লেঃ কর্নেল রুহুল আমিন বলেন, জাতিসংঘের দেয়া ম্যান্ডেট বা অর্পিত দায়িত্বের বাইরেও আমরা এখানকার সাধারণ অসহায় মানুষদের সিমিক প্রোগ্রামের আওতায় নানাবিধ সেবা দিয়ে যাচ্ছি। যার অন্যতম হচ্ছে-সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ।

লেঃ কর্নেল রুহুল আমিন আরো বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। দেশের এই সম্মান ও মর্যাদা ধরে রাখতেই সিভিল মিলিটারি কোঅপারেশন (সিমিক) কার্যক্রমের আওতায় নানাবিধ সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ