‘যুদ্ধবিরতি’ সত্ত্বেও অব্যাহত রাশিয়ার হামলা

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে ৩৬ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা সত্ত্বেও রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে গোলা বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) ইউক্রেনের বাখমুত, ক্রেমিন্না ছাড়াও লুহানেস্ক, দোনেৎস্কের অন্যান্য স্থানগুলোতে রাশিয়া-ইউক্রেনের সেনারা হামলা পাল্টা হামলা চালিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বড়দিন উৎসবের ছুটি উপলক্ষ্যে শুক্রবার থেকে শুরু করে শনিবার পর্যন্ত ৩৬ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিন। তিনি এ দু’দিন রুশ সেনাদের হামলা চালানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন।

তবে যুদ্ধবিরতি শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে খেরসন এবং ক্রামাতোর্সক শহরে মুহুর্মুহু রকেট ছোড়ে রাশিয়ার সেনারা।

পুতিনের ঘোষণার পরও হামলার ঘটনা ঘটায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ক্রেমিন্নায় মোতায়েনকৃত ইউক্রেনীয় সেনারা। বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এক সেনা বলেছেন, ‘যুদ্ধবিরতি কি? আপনি শুনতে পারছেন?’

ওই সেনা রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলার সময় সেখানে রকেট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

তিনি আরও বলেন, ‘যদি তারা গুলি চালানো অব্যাহত রাখে তাহলে আপনি কি পেতে চান? আমরা জানি। আমরা তাদের বিশ্বাস না করতে শিখে গেছি।’

রুশ সেনাদের হামলার জবাবে ট্যাংক দিয়ে পাল্টা হামলা চালায় ইউক্রেনীয় সেনারা।

অবশ্য রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, যুদ্ধ বিরতি ঘোষণার পরও ইউক্রেনের সেনারা প্রথমে হামলা চালিয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পুতিনের এ যুদ্ধবিরতি মানবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এটিকে রাশিয়ার ‘চক্রান্ত’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন তিনি।

এদিকে রাশিয়া এবং ইউক্রেনে যেসব খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী আছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই অর্থডক্সপন্থী। বিশ্বের বেশিরভাগ খ্রিস্টান ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উদযাপন করলেও অর্থডক্সপন্থীরা ৭ জানুয়ারি এ উৎসব পালন করে থাকেন। এ কারণে এদিন যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিলেন পুতিন।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ